অধ্যায় ১১ঃ কানেকটিভিটি ডিজাইন

রচনামূলক


১. MODEM-এর মাধ্যমে Data communication পদ্ধতি চিত্রসহ বর্ণনা কর ।

উত্তরঃ MODEM শব্দটি Modulator এবং Demodulator শব্দ দুটির সমন্বয়ে গঠিত। অর্থাৎ Modulator এর MO এবং Demodulator এর DEM এর সমন্বয়ে MODEM শব্দটির উৎপত্তি।

MODEM-এর কাজ মূলত দুটি ট্রান্সমিশনের সময় ডিজিটাল ডাটাকে অ্যানালগ ডাটা এবং রিসিভিং এর সময় অ্যানালগ ডাটাকে ডিজিটাল ডাটাতে রূপান্তর করা। আর এ কাজটি করতে হয় কারণ কম্পিউটার কাজ করে ডিজিটাল ডাটা নিয়ে, সে অ্যানালগ ডাটা নিয়ে কাজ করতে পারে না। অপরপক্ষে, বহিঃজগতের অনেক মিডিয়া বা ডিভাইস অ্যানালগ সিগন্যাল ব্যতীত কাজ করতে পারে না। আর অ্যানালগ ও ডিজিটাল ডাটার সমন্বয়সাধনের মধ্যে মূলত MODEM-এর Performances অন্তর্নিহিত। মূলত ডিজিটাল ডাটাকে PSTN টেলিফোন লাইনের প্রপার্টির কারণে উচ্চগতিতে পাঠানো যায় না বলে ডিজিটাল ডাটাকে অ্যানালগ- এ পরিবর্তন করে উচ্চগতিতে পাঠানো হয়। আর গ্রাহক প্রান্তে MODEM এর মাধ্যমেই অ্যানালগ সিগন্যাল ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়।

Modem


২. Router- এর কার্যক্রম বর্ণনা কর ।

উত্তরঃ রাউটারের কাজ হলো এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য রাউটারে ডাটা পেকেট পাঠানোর পথ খুঁজে নেওয়া এবং আশেপাশের রাউটারকে সেই পথ সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া।যে কোন রাউটার বা নোটের একের অধিক রাউট বা ডাটা পাঠানোর পথ থাকতে পারে। রাউটারের কাজ হলো সবচেয়ে উত্তম পথ বাচাই করা ও ব্যবহার করা।কোন রাউট কে উত্তম হিসাবে বিবেচনা করা হয় কতগুলো বৈশিষ্ঠ্যের উপর ভিত্তি করে , যা সাধারণভাবে রাউট মেট্রিক হিসাবে পরিচিত।কোন পথ দিয়ে নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানো হবে, তা নির্ধারনের জন্য রাউটার দুটি পদ্ধত্তি ব্যবহার করে- স্ট্যাটিক রাউটিং এবং ডায়নামিক রাউটিং। রাউটার রাউটিং পথ , প্রতিবেশী রাউটারের অবস্থান সহ সকল তথ্য রাউটিং টেবিলে জমা রাখে। যখনই অন্য কোনো নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানোর দরকার হয়, তখন রাউটার দেখে নেয় সে নেটওয়ার্কে পৌছার জন্য রাউটিং টেবিলে কোনো পথ উল্লেখ করা আছে কি না। সাধারণত প্রতিটি পথের জন্য একটি করে আপেক্ষিক মান দেয়া হয়, যাকে বলা হয় কস্ট (Cost)। যে পথের কস্ট সবচেয়ে কম, রাউটার সেই পথ ব্যবহার করবে ডাটা প্যাকেট পাঠানোর জন্য ।

Routerwork

নেটওয়ার্ক ২ হতে নেটওয়ার্ক ৬ এ ডাটা পাঠাতে নেটওয়ার্ক ৩ নেটওয়ার্ক ৫ না ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক ৪ ব্যবহার করে ডাটা পাঠানো সহজ এবং এতে কম সময় লাগবে।


৩. Router , Bridge ও Gateway- এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ ।

উত্তরঃ
Router :
(ক) প্রতিটি পোর্টের জন্য ভিন্ন নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ব্যবহার করে,
(খ) নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেসের উপর ভিত্তি করে রাউটিং টেবিল গড়ে তোলে,
(গ) ব্রডকাস্ট ট্রাফিক অতিক্রম করতে দেয় না,
(ঘ) অজানা ঠিকানার ডাটা প্যাকেটকে অতিক্রম করতে দেয় না, ডাটা ফ্রেমে নতুন হেডার যোগ করে,
(চ) ট্রাফিককে অন্য প্রান্তে পাঠানোর আগে ডাটা ফ্রেমকে অবশ্যই রাউটারে পৌঁছাতে হবে,
(ছ) রাউটার কাজ করে লেয়ার ৩ বা নেটওয়ার্ক লেয়ারে।

Bridge :
ক। ব্রিজ একই টাইপের প্রটোকল ব্যবহার করে একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে একটি একক নেটওয়ার্ক তৈরি করে।
খ। ব্রিজ নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে।
গ। নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত সকল কম্পিউটার একে অপরকে দেখতে পারে।
ঘ। ব্রিজ ডাটা লিংক লেয়ারে কাজ করে।

Gateway:
(ক) গেটওয়ে ভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কসমূহকে যুক্ত করে ৷
(খ) গেটওয়ে প্রটোকল ট্রান্সলেশনের সুবিধা দেয়।
(গ) এটি ওএসআই রেফারেন্স মডেলের প্রায় সকল স্তরে কাজ করতে পারে।
(ঘ)টিসিপি/আইপি-ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে রাউটার এবং গেটওয়ে একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।
(ঙ) যেখানে একাধিক প্রটোকল ব্যবহার করা হয়, সেখানে gateway অবশ্যই ব্যবহার করতে হয়।

চারটি বেসিক টেকনিকের যেকোনো একটি দিয়ে সিগন্যালগুলোকে মাল্টিপ্লেক্সিং করা যায় ।
ক) Frequency division multiplexing (FDM)
খ) Wave division multiplexing (WDM)
গ) Time division multiplexing (TDM)
ঘ) Code division multiplexing (CDM)
এ চার প্রকার টেকনিকের মধ্যে প্রথম দুই প্রকার অন্যালগ সিগনালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং শেষের দুই প্রকার টেকনিক ডিজিটাল সিগনালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।