অধ্যায় ৯ঃ চূড়ান্ত হিসাব

সংক্ষিপ্ত


১।অবচয় ধার্যের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কোনো কারবার প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিগুলোর ক্রমাগত ব্যবহারজনিত কারণে যে ক্ষতি হয় বা মূল্য হ্রাস পায় তাকে অবচয় বলা হয়। এ পদ্ধতিতে যন্ত্রটি আনুমানিক কত ঘণ্টা ধার্য করা যাবে, তা নিরূপণ করে তা দ্বারা যন্ত্রের মূল্যকে ভাগ করে যন্ত্রটির ঘণ্টা প্রতি ব্যবহারজনিত অবচয়ের পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। এভাবে নিরূপিত যান্ত্রিক, ঘণ্টা হার দ্বারা বছরে যন্ত্রটি কত ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়েছে, তাকে গুণ করা হয়। এরূপে অবচয় নিরূপণ করা হয়।


২।উদ্বৃত্তপত্রের উভয় দিক সমান হয় কেন?

উত্তরঃ দু'তরফা দাখিলা পদ্ধতির ডেবিট ক্রেডিটের সমতার নীতি অনুযায়ী খতিয়ান হিসাবের ব্যালেন্স নিয়েই উদ্বৃত্তপত্রে প্রস্তুত করা হয়। প্রতিটি ডেবিটের জন্য একটি সম পরিমাণ টাকার ক্রেডিট অবশ্যই থাকে। সে কারণে খতিয়ান হিসাবসমূহের মোট ডেবিট উদ্বৃত্ত মোট ক্রেডিট উদ্বৃত্তের সমান হতে বাধ্য। কোনো নির্দিষ্ট সময়ের নামিক হিসাবসমূহের নীট লাভ বা ক্ষতি এবং সকল ব্যক্তিবাচক ও সম্পত্তিবাচক হিসাবের ব্যালেন্স নিয়ে উদ্বৃত্তপত্র তৈরি করা হয়। ফলে উদ্বৃত্তপত্রের উভয়দিক অবশ্যই মিলে যাবে।


৩।মূলধন জাতীয় ব্যয় ও মুনাফা জাতীয় ব্যয় কী?

উত্তরঃ
মূলধন জাতীয় ব্যয় : কোনো কারবার প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী সম্পত্তি অর্জন করার জন্য যে অর্থ ব্যয় হয় তাকে মূলধন জাতীয় ব্যয় বলে।
মুনাফা জাতীয় ব্যয় : কোন কারবার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্য পরিচালনা করতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে যে সমস্ত ব্যয় সংঘটিত হয় তাকে মুনাফা জাতীয় ব্যয় বলে।


৪।অগ্রিম খরচ কী?

উত্তরঃ কোনো একটি নির্দিষ্ট হিসাব বছরের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে ব্যয় প্রদেয় নয় অথচ বিশেষ কোনো কারণে উক্ত ব্যয়ের অর্থ পূর্বে প্রদান করা হলে তাকে অগ্রীম খরচ বলা হয়। যেমন- অগ্রীম বেতন, ভাড়া ইত্যাদি। অগ্রীম খরচকে অবশ্যই সঠিকভাবে হিসাবভুক্ত করা প্রয়োজন এবং অগ্রীম খরচকে ক্রয়-বিক্রয় ও লাভ-লোকসান হিসাব এবং উদ্বৃত্তপত্রে লিপিবদ্ধ করতে হবে।