১৯৫৮ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত সুইডিশ-পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) প্রায় ৩০ জন ছাত্র অধ্যায়ন করত। তাদেরকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে করাচিতে গিয়ে নিয়মিত পড়ালেখা করতে হত, যা একটি বাঙ্গালি পরিবারের জন্য খুবই ব্যয়বহুল ছিল । এতে বাঙ্গালি ছাত্ররা প্রায় অসহায় হয়ে পড়ে। তখন তারা করাচির সুইডিশ-পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রধান উপদেষ্টা মিস্টার মাক্স ও. লেদেন এর সাথে দেখা করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে এ রকম একটি জাতীয় ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি ব্যাপারটি আগ্রহের সাথে দেখেন এবং তাদেরকে সরকারের কাছে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করার পরামর্শ দেন।
ছাত্ররা একত্রিত হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্পমন্ত্রী এ. কে. খান এর সাথে দেখা করেন। তিনি তৎকালীন মন্ত্রীপরিষদের প্রভাবশালী বাঙ্গালি মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সরকারের কাছে চট্টগ্রামের কাপ্তাইতে এই ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠা কারার প্রস্তাব করেন। পরবর্তীতে, কেন্দ্রীয় সরকারের আহবানে সুইডেন থেকে আগত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির একটি দল কাপ্তাই সফর করেন এবং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে তাদের সম্মতি জানান। এর কিছুদিন পরই, ১৯৬০ সালে, “SENTAB” নামের একটি সুইডিশ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান তাদের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ১৯৬৫ সালে এর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়।
বর্তমানে এই ইনস্টিটিউটে ২টি হল রয়েছে এবং এগুলোতে ২৯৬ জন ছাত্রের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় ৩০.৫ একর জমি জুড়ে অবস্থিত।